English French German Italian Portuguese Russian Spanish

Related Articles

Search

Land

ইটভাটার কারণে হুমকিতে বাঁধ ও ফসলি জমি

Print

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরগুনা ও পাথরঘাটা প্রতিনিধি | তারিখ: ০৪-০৩-২০১৩

 

 

ইটভাটার গাড়ি যাওয়া-আসার ফলে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কূপদোন এলাকার রাস্তাটি ভেঙেচুরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একই এলাকায় বিষখালী নদীর বাঁধ কেটে বালু উত্তোলন ও পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ বসানো হয়েছে (ইনসেটে)। বৃহস্পতিবার তোলা ছবি-প্রথম আলো

 

 

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় জনবসতির মধ্যে গড়ে তোলা একটি ইটভাটার কারণে পাউবোর বাঁধ ও আশপাশের ফসলি জমি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।


ইটভাটার দূষিত পানি জমা করার জন্য বাঁধের পাশেই নালা কাটা হয়েছে। পরে ওই পানি বাঁধ কেটে পাইপের মাধ্যমে নদীতে ফেলা হচ্ছে। পাশাপাশি ভাটার আশপাশের খেতে ফসল উৎপাদন কমে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট মালিকেরা ইটভাটার কাছে জমি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।


সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিষখালী নদীর তীরের কূপদোন এলাকায় জনবসতির মধ্যে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঘেঁষে প্রায় ১৩ একর ফসলি জমিতে ‘আরএসএফ এন্টারপ্রাইজ’ নামের এই ইটভাটাটি স্থাপন করা হয়েছে। ভাটার জমিতে ৩০ ফুট গভীর করে আট-নয়টি পুকুর খনন করে ইট তৈরির জন্য মাটি নেওয়া হয়েছে। ভাটার আশপাশে রয়েছে ফসলি জমি। বাঁধের পাশ ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে নালা। জিগজ্যাগ পদ্ধতির এই ইটভাটার দূষিত পানি ওই নালায় জমা হচ্ছে। পরে তা বাঁধ কেটে পাইপ দিয়ে নদীতে ফেলা হচ্ছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে তিন একর জমি কিনে ইটভাটাটি স্থাপন করেন বরগুনার ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক। ধীরে ধীরে ভাটার আশপাশের ১৩ একর ফসলি জমি কিনে তিনি ভাটাটি সম্প্রসারণ করেন। জমি বিক্রেতা মোতালেব মৃধা বলেন, প্রথমে তাঁদের কয়েকজনের কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকায় ৩৬ শতক জমি কিনে নিয়ে ভাটাটি স্থাপন করা হয়। পরে ভাটা সম্প্রসারণের জন্য আশপাশের ফসলি জমি দ্বিগুণ মূল্যে কিনে নিতে থাকেন ভাটার মালিক।


স্থানীয় কৃষকেরা অভিযোগ করেন, ইটভাটার জমিতে বড় বড় পুকুর খনন করে মাটি তোলায় এবং ভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ার কারণে আশপাশের জমিতে ফলন কমে গেছে। তিন বছর আগেও জমিতে যে ধান হতো, এখন তার অর্ধেক ধান পান তাঁরা। এ কারণে অনেকে ওই ইটভাটার কাছে জমি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।


স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমার ৩৪ শতাংশ আবাদি জমি ওই ইটভাটার কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি।’


স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভাটার পানি অপসারণের জন্য বাঁধের পাশে নালা খনন করায় বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ১৫-১৬ দিন আগে রাতের আঁধারে বাঁধ কেটে মোটা পাইপ স্থাপন করে নদীর সঙ্গে সংযোগ দেওয়ায় বাঁধটির ভিত দুর্বল হয়ে গেছে।


এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে আরএসএফ এন্টারপ্রাইজের মালিক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি জোর করে কারও জমি কিনিনি; বরং এখন অনেকে আমার কাছে জমি বিক্রি করতে চাইছে। এ ছাড়া ভাঙনরোধে আমি নদীর পাড়ে ইট ফেলেছি।’


এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পাউবোর বরগুনা কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা খোঁজ নেবেন এবং সত্যতা পেলে ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।


পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বাদল চন্দ্র হালদার বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক সুকুমার বিশ্বাস বলেন, লোকালয়ে ও ফসলের মাঠে ইটভাটা স্থাপনের কোনো নিয়ম নেই। তিনি শিগগিরই ভাটা এলাকা পরিদর্শন করবেন এবং অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেবেন।

 

 

Source: prothom-alo

 

 


 

 

 

 

{jcomments on}

 

 

নীতিমালা নেই পাথর উত্তোলনে

Print

 

 

এ হোসেন রায়হান, পঞ্চগড

 

 
 
 
দেশের ভূগর্ভস্থ নুড়ি পাথরের খনি হিসেবে পরিচিত পঞ্চগড় জেলা। বিগত কয়েক যুগ ধরে পঞ্চগড় জেলার ভূগর্ভস্থ নুড়ি পাথর দেশের নির্মাণ শিল্পের শতকরা ৬০ ভাগ চাহিদা পূরণ করে আসছে। ক্রমাগতভাবে দেশে পাথরের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পঞ্চগড়েও পাথরের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। নদ-নদী থেকে পাথর সংগ্রহের পাশাপাশি স্বল্প পরিসরে সমতল ভূমির পাথর উত্তোলন করেই এ জেলার সিংহভাগ মানুষ চালাত তাদের জীবন-জীবিকা। বিকল্প কোনো কর্মক্ষেত্র না থাকায় মানুষের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে নির্বিচারে সমতল ভূমি কেটে বিশাল গর্ত করে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে উত্তোলন করা হচ্ছে পঞ্চগড়ের ভূগর্ভস্থ নুড়ি পাথর। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আবাদি জমি, বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ।
 
সরকারিভাবে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকার কারণে বর্তমানে জমি যার খনি তার—এ নীতিতেই চলছে পঞ্চগড়ের পাথর উত্তোলন। যে পদ্ধতিতে এখানে পাথর উত্তোলন হচ্ছে, তা কোনোভাবেই পরিবেশ-বান্ধব নয়। স্বার্থান্বেষী একটি মহল অধিক মুনাফা লাভের আশায় নির্বিচারে সমতল ভূমি কেটে সাবাড় করে ফেলছে আবাদি জমি। হাজার হাজার একর সমতল ভূমি গভীর গর্তে পরিণত করে হুমকির মুখে ফেলা হচ্ছে পরিবেশকে। ভয়ানক বিপর্যয়ের হাতছানি এ জেলার মানুষের জন্য অপেক্ষা করছে এমন মনে করছেন পরিবেশবিদরা।

অথচ প্রশাসনের নেই কোনো মাথাব্যথা। ঘটনা আড়াল করে আইন আছে এবং এর প্রয়োগও হচ্ছে এমন মনগড়া ব্যাখ্যা দিলেন জেলা প্রশাসক।

এদিকে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ জানালেন, বিকল্প কোনো কর্মক্ষেত্র না থাকায় পাথর সংগ্রহের বিষয়টি তাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।

হিমালয়ের কোল ঘেঁষে পঞ্চগড় জেলার অবস্থান। ভৌগোলিক কারণে এখানের মাটিতে পাথর এবং বালির আধিক্য অপেক্ষাকৃত বেশি। ফলে এখানে উল্লেখযোগ্য কোনো ফসল হয় না। ভারত থেকে বয়ে আসা ছোট-বড় নদ-নদীর বুক থেকে সংগ্রহ করা পাথর এবং ভূগর্ভস্থ নুড়ি পাথর উত্তোলন করেই এ অঞ্চলের মানুষ তাদের জীবন-জীবিকা চালায়। সরকারি কোনো নীতিমালা না থাকার কারণে সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনে একদিকে নষ্ট হচ্ছে আবাদি জমি, অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ।
 
 
 

 
 

মীরসরাইয়ে অবাধে বিক্রি হচ্ছে টপসয়েল

Print

 

 

 

চট্টগ্রাম থেকে রফিকুল ইসলাম সেলিম : মীরসরাইয়ে অবাধে বিক্রি হচ্ছে কৃষি জমির মাটি। এতে প্রতি বছরবিপুল পরিমাণ জমি উর্বরা শক্তি হারিয়ে অনাবাদি ও খানা-খন্দে পরিণত হচ্ছে। ইটভাটায়ইটতৈরি ও বিভিন্ন স্থানে গর্ত, ডোবা ও নিচু এলাকা ভরাট করতে এসব মাটি ব্যবহারহচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা এসব ইটভাটায় ইট তৈরিরজন্য যে মাটি ব্যবহার হয় তার সিংহভাগ মাটিই ফসলি জমির উপরিভাগের। কার্তিক মাস থেকেশুরু করে জৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত ৬-৭ মাসচলে এ মাটি কাটা। বর্তমানে এই চৈত্র মাসে (মার্চ) চলছে উপজেলার সর্বত্র কৃষি জমির পলির আস্তরণ কেটে বিক্রি করার ধুম। কিন্তুসবাই নীরব রহস্যজনকভাবে। কৃষকের দরিদ্র্যতা, অজ্ঞতা ও অসচেতনতাকে পুঁজি করে এবং জমিমালিকদেরকে নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে একশ্রেণীর দালালচক্র এসব জমির মাটি কেটে নিতেসহায়তা করছে। এলাকার অনেক ট্রাক্টর মালিক নিজেরা এবং দালালদের মাধ্যমে এসব কৃষিজমির মাটি কিনে ট্রাক্টরে করে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছে। প্রতিদিন উপজেলারখইয়াছড়া ইউনিয়নের মসজিদিয়া, করেরহাট ইউনিয়নের অলিনগর, ঘেড়ামারা, মীরসরাই সদরইউনিয়নের তারাকাটিয়িা, দূর্গাপুর ইউনিয়নের রায়পুর এলাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলেরমাঠথেকে ট্রাক্টরওট্রাকে করে শত শত গাড়ি মাটি বোঝাই করে কেটে নিচ্ছে। এক্ষেত্রে জমিরমালিক প্রতি গাড়ি মাটির মূল্য বাবদ পাচ্ছে দেড় থেকে ২০০ টাকা। দালালরা পাচ্ছে ৩০থেকে ৫০ টাকা।ট্রাক্টর মালিকরা মাটি কাটার স্থানথেকে ৪/৫ কিলোমিটার দূরত্বেরমধ্যে প্রতি ট্রলি মাটি বিক্রি করছে সাড়ে ছয়শ’ থেকে সাতশ’ টাকায়। কোনোকোনো জমিরমালিক নগদ টাকার লোভে আবাদি জমিথেকে ২/৩ ফুট পর্যন্ত গভীর করে মাটি কেটে বিক্রিকরে দিচ্ছে। কৃষিবিদদের মতে কৃষি জমির উপরিভাগের স্তরের ৯ ইঞ্চি থেকে এক ফুটউচ্চতার মাটিতেই নানা প্রকার পুষ্টি ও জৈব উপাদান থাকে যা গাছ খাদ্য হিসেবে গ্রহণকরে। আর এ স্তরেই বাস করে কৃষকের বন্ধু বলে পরিচিত কেঁচো। এই কেঁচোরা তাদের খাদ্যগ্রহণের জন্যনিচের মাটির ক্রমাগত ওপরে তোলার ফলে কৃষি জমির ঊর্বরা শক্তি বৃদ্ধিপায়। মাটি কাটার ফলে এই কেঁচো ও নানা রকম উপকারী কীটপতঙ্গ মাটির সঙ্গে ওঠে পড়ে। তাইকৃষি জমির এ অংশের মাটি কেটে নেয়ার ফলে জমির ঊর্বরা শক্তি হারিয়ে যায় যা পূরণ হতেকমপক্ষে ১৫ থেকে ১৮ বছর সময় লেগে যায়। আবার বেশি গভীর করে মাটি কাটার ফলে জমিতেগর্ত সৃষ্টি হওয়ায় জমিতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে ওই জমিতে ফসল ফলানো যায় না।


একটি জমি থেকে গভীর করে মাটি কাটার ফলে বিশেষ করে তার চারপাশেরজমিগুলোও ভূমিধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এঁটেল মাটি দিয়ে ইট তৈরি ভালো হয় বলেভাটামালিকদের কাছে এই মাটির চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি। অপর দিকে এঁটেল মাটিতেইসবরকম ফসল ভালো হয়। তাই এই ধরনের মাটি কাটার ফলে সর্বনাশ হচ্ছে আবাদি জমির। অনেকক্ষেত্রে ভাটা মালিকরা আবাদি জমিতে পুকুর তৈরি করে দেয়ার শর্তে জমি মালিকদের সঙ্গেচুক্তি করে। উপরের মাটিকেটে নেয়ার পর নিচের বালির স্তর বেরিয়ে পড়লেকৌশলে সেখানথেকে সরে পড়ে। ফলে ওই জমিতে আর পুকুর কাটা হয় না। তাতে একদিকে জমির মালিকযেমনআবাদি জমি হারায় অপরদিকে পুকুরও তৈরি হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটে এবংজমির মালিকরা প্রতারিত হয়।


বর্তমানে ইটভাটার সবগুলোতেই এই মাটি দিয়ে ইট তৈরিহয়। তাতে করে প্রতি বছর কয়েকশ’ বিঘা আবাদি জমি কমে যাচ্ছে। যা পরিবেশের জন্যমারাত্মক হুমকিস্বরূপ। প্রতি বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিপুল পরিমাণ আবাদি জমিরক্ষতি হলেও এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার পদক্ষেপ নেই।


সচেতন মহলমনে করেন, আবাদি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নেয়ার ফলে আবাদি জমির যেঅপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে সে ব্যাপারে জমি মালিকদেরকে সচেতন করা ও আইন প্রয়োগ করে এ মাটিকাটা বন্ধ না করা গেলে এর ফলে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।

মীরসরাইয়েরকৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মীরসরাইয়ে মোট ফসলী জমি রয়েছে ২৫ হাজার ৯১১ হেক্টর। এরমধ্যে এক ফসলী ৭ হাজার ১২৫ হেক্টর, দুই ফসলী ১৪ হাজার ১৭০ হেক্টর, তিন ফসলী ৪ হাজার২১০ হেক্টর। বর্তমানে উপজেলার সর্বত্র আবাদী জমিগুলো থেকে ইটভাটার প্রয়োজনে টপসয়েলকেটে নেয়া হচ্ছে। ফলে পরবর্তী মৌসুমে মাটির উপরিভাগ না থাকায় জমিতে ফসল উৎপাদনে চরমবিপাকে পড়বে কৃষকরা। তিনি আরো বলেন, নতুন নতুন বাড়িঘর, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নির্মাণকরায় প্রতি বছর মীরসরাইয়ে ফসলী জমির পরিমাণ কমছে। তার উপর ফসলী জমির মাটির বিক্রিউদ্বেগজনকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ফলস উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হবে। মীরসরাই ইটভাটা মালিকসমিতির একটি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৪টি ইটভাটায় প্রতি মৌসুমে গড়ে তিন কোটি ইটউৎপাদন হয়। প্রতি ২৫ ঘনফুট মাটি দিয়ে তৈরি হয় একটি ইট। বর্তমান সময়ে মীরসরাইয়েরইটভাটাগুলোতে টপসয়েল দিয়ে মাটির জোগান দেয়া হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুবআলীবলেন, আবাদি জমির উপরিভাগের স্তরের ৯ ইঞ্চি উচ্চতারমাটিতে মাটির সিংহভাগপুষ্টি থাকে। এই মাটি কেটে নেয়ার ফলে মাটি পুষ্টিশূন্য হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই জমিরক্ষতিপূরণ হতে ৬/৭ বছর সময় লেগে যায়। এই বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজাউলকরিম বলেন, কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত করার অধিকার জমির মালিক বাঅন্য কারো নেই। এটাবে-আইনি। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবেকেউ অভিযোগ করলেপ্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 


 

Source: dailyinqilab

 


 

 

{jcomments on}

 

লোনা পানি ঢুকে ২০ হাজার হেক্টরে বোরো আবাদ বন্ধ

Print

 

ভোলা অফিস | তারিখ: ০৩-০৩-২০১২

 

 

লোনা পানি ঢুকে পড়ায় ভোলার চার উপজেলার ২০ হাজার হেক্টর জমিতে এ মৌসুমে বোরো আবাদ হচ্ছে না। স্লুইসগেট ভেঙে যাওয়ায় এবং খাল ভরাট হওয়ায় খেতে লোনা পানি ঢুকছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কয়েক হাজার চাষি। চাষাবাদের পর লোনা পানি ঢুকে পড়ায় লালমোহন উপজেলার দুই ইউনিয়নে ৪৫০ হেক্টর জমির বোরো ধান নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা জানান, স্লুইসগেট সংস্কার, খাল খনন ও নলকূপ খনন করে মিঠা পানির ব্যবস্থা করতে পারলে ওই ২০ হাজার হেক্টরে বোরো আবাদ করা সম্ভব হতো। লালমোহন উপজেলার দক্ষিণ পেয়ারীমোহন গ্রামের কৃষক আবদুল খালেক জানান, গত দুই বছর আগেও লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে বোরো আবাদ হতো। তখন বেতুয়া খালের ফাতেমাবাদ এলাকার স্লুইসগেটটি ভালো ছিল। দুই বছর ধরে স্লুইসগেটটি ভাঙা থাকায় বেতুয়া খালে লোনা পানি ঢুকছে। শুধু বেতুয়ার খালই নয়, কামার, গাইট্টার ও বাত্তির খালের স্লুইসগেটসহ লালমোহন এবং চরফ্যাশনের সবগুলো ভাঙা সু্লইসগেট দিয়ে লোনা পানি ঢুকছে। তজুমদ্দিনেও একই অবস্থা। কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম আরও জানান, জরুরি ভিত্তিতে লালমোহনের তেগাছিয়া, চতলা, কুলচারা, মাস্টার, বৈরাগীর, সুকুচিয়ার, বুড়ির, হালট, হাসানিয়ার, জালছেড়ার, তিনগাজীর খাল খনন করতে হবে। খাল খনন হলে লালমোহনে দুই হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ বাড়বে। তজুমদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনোতোষ শিকদার জানান, উপজেলায় ২০০ কিলোমিটার খাল খনন করতে হবে। খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়নি। চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিনয়কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, আসলামপুর, চর মাদ্রাজ, কুকরি-মুকরি ও ঢালচর ইউনিয়নে লোনা পানির কারণে বোরো আবাদ হচ্ছে না। কালাপানিয়া, মুখরবান্দা, তেলীখালী খাল খনন করা থাকলে পাঁচ হাজার হেক্টরে বোরো চাষ করা সম্ভব হতো। মনপুরা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবার রহমান জানান, লোনা পানির কারণে মনপুরায় বোরো আবাদ হচ্ছে না। লালমোহন উপজেলায় ধলীগৌরনগর ও লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে ৪৫০ হেক্টরে বোরো আবাদ হয়েছে। কিন্তু লোনা পানির কারণে কৃষকেরা বিপাকে আছেন। লালমোহন পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের বোরো কৃষক মোজাম্মেল হাওলাদার বলেন, ‘আমি রমাগঞ্জের কামারখাল এলাকায় ৩০ একর জমিতে সেচ দিচ্ছি। কিন্তু লোনা পানি হওয়ায় খেতের মাটি লাল হয়ে যাচ্ছে।’ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শান্তিরঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘আমরা গত জানুয়ারিতে স্লুইসগেটগুলো সংস্কার ও খাল খননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) চিঠি লিখেছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’ পাউবো-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আতাউর রহমান বলেন, স্লুইসগেটগুলো সংস্কারের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। খাল খননের তালিকাও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

 

 

 


Source : Prothom Alo

 

 

 

বিস্তীর্ণ এলাকা মিনি মরুভূমি

Print

 

 

 

17th March, 2013

 

 

 

 

সাখাওয়াত হোসেনবাদশা : বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন মিনি মরুভূমি। পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এশীয়উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও এশীয়-প্রশান্ত পানি ফোরাম এ দেশের পানি ব্যবস্থাপনা নিয়েযে চিত্র তুলে ধরেছে-বাস্তবতা তার চেয়েও করুণ। ব্রক্ষপুত্র, যমুনা, পদ্মা, মেঘনা, তিস্তা, সুরমা, কুশিয়ারা, ধলেশ্বরী, গোড়াইসহ দেশের সকল নদ-নদীর যেদিকেই দু’চোখ যায়ধু-ধু বালুচর। এই ভয়াবহ দুরবস্থার জন্য প্রকৃতি যতটা না দায়ী, তার চেয়ে অনেক অনেকবেশি দায়ভার বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ভারতের। দেশটির পানি কূটনীতির কবলে পড়েইবাংলাদেশের জলবায়ুতে এই বিরূপ প্রভাব দেখা দিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে শত শত নদী হারিয়েগেছে। আর শুষ্ক মৌসুম এলেই অসংখ্য নদী মরা গাঙে পরিণত হয়। ক্রমান্বয়েই ভূ-গর্ভস্থপানির স্তর নেমে যাচ্ছে নিচের দিকে। ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের কৃষিনির্ভরঅর্থনীতি। বনজ সম্পদ হুমকির মুখে। সেই সাথে পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে নদী অববাহিকারমানুষ আর্সেনিকসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।


এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)ও এশীয়-প্রশান্ত পানি ফোরামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেবাংলাদেশে পানি সঙ্কট ভয়াবহ। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ‘দ্য এশিয়ান ওয়াটারডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০১৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করা হয়। এইঅঞ্চলের প্রতিটি দেশের পানি সঙ্কট নিয়ে এটাই প্রথম রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়, এশিয়াও প্রশান্ত অঞ্চলের ৪৯টি দেশের মধ্যে ৩৭টি দেশে পানি সঙ্কট রয়েছে। এডিবির বিবৃতিতেবলা হয়, ‘দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার নদীগুলোর ওপর প্রচ- চাপ থাকায় পানিসঙ্কট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।’ অন্যদিকে রয়টার্সের এক রিপোর্টে বলা হয়, সাম্প্রতিকবছরগুলোতে পানি নিরাপত্তা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে ভয়াবহ পানি সঙ্কটের কারণে প্রায়ই বন্যা, খরা, জলবায়ুপরিবর্তন, নদী ও হ্রদের দূষণ, নগরায়ন এবং ভূ-উপরিস্থ পানির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারহচ্ছে। উপরন্তু ভারতের মতো দেশ জলবিদ্যুতের দিকে ঝুঁকে পড়ায় পানি সঙ্কট তীব্র আকারধারণ করেছে।


শুষ্ক মৌসুমে পানির জন্য এদেশের মানুষের হাহাকারের মূল কারণ-ভারতথেকে পানি আসতে না পারা। বন্ধুপ্রতিম এই রাষ্ট্র উজানের পানি প্রত্যাহার করে নিতেস্থায়ীভাবে গঙ্গা নদীতে ফারাক্কা বাঁধ, তিস্তায় গজলডোবা বাঁধ, মনু নদীতে নলকাথাবাঁধ, যশোরে কোদলা নদীর উপর বাঁধ, খোয়াই নদীর উপর চাকমা ঘাট বাঁধ, বাংলাবন্ধেমহানন্দা নদীর উপর বাঁধ, গোমতি নদীর উপর মহারানি বাঁধ, মহুরি নদীর উপর কলসী বাঁধ, উমিয়াম ও ধালা নদীর উপর মাওপু ড্যাম এবং সারী ও গোয়াইন নদীর উপর মাইন্ডু ড্যামনির্মাণ করেছে। মাওপু ও মাইন্ডু ড্যাম নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত ১২ডিসেম্বর কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। ওই প্রতিবাদে বলা হয়েছে, উমইউ এবং মাইন্ডু ভারত ওবাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন নদী। এই নদীর উপর ড্যাম নির্মাণের ফলে বাংলাদেশে কি ধরনেরবিরূপ প্রভাব পড়বে তা নিরূপণ করা প্রয়োজন। এটা নিরূপণ না হওয়া পর্যন্ত ভারতেরমেঘালয় রাজ্য সরকারকে ড্যাম নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও বলাহয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের এই আহ্বানে সারা দেয়নি ভারত।


এছাড়াও বরাক নদীর উপরেওভারত নির্মাণ করছে শক্তিশালী স্থাপনা। দ্রুততার সাথে এই কাজ এগিয়ে চলছে। যা টিপাইড্যাম নামে পরিচিত। এখান থেকে ভারত ১৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। ভারতের এইউচ্চভিলাষী পরিকল্পনা বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে-এমন শঙ্কাথেকেই বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। ভারতের ত্রিপুরারাজ্য জুড়েও এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষথেকেও জানানো হয়েছে জোড়ালো প্রতিবাদ। কিন্তু ভারত তার কাজ ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছে।এছাড়াও আরও ১৫টি নদীর উপর ভারত অস্থায়ী ভিত্তিতে কাঁচা বাঁধ নির্মাণ করেছে। বর্ষামৌসুমে এসব স্থায়ী ও অস্থায়ী বাঁধ খুলে দেয়া হয় এবং শুষ্ক মৌসুম শুরু হলেই এসবকাঁচা বাঁধ পুনরায় নির্মাণ করে পানি প্রত্যাহারের কাজে লাগানো হয়। ভারতের এরকম পানিপ্রত্যাহারের ফলে চলতি শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই দেশের নদ-নদীগুলোর অবস্থা আরও করুণহয়েছে। দেশের নদ-নদীগুলোতে তীব্র পানি সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরেওপড়েছে এর বিরূপ প্রভাব।


যমুনাবিধৌত এলাকায় ভারতের পানি আগ্রাসন নীতির বিরূপপ্রভাব নিয়ে গবেষণা করতে যেয়ে দেশের পানি বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, নয়-দশ বছর ধরে যমুনানদীর পানির স্তর ভূগর্ভস্থ পানির স্তরেরও অনেক নিচে নেমে গেছে। আগে শুষ্ক মৌসুমেভূখ- থেকে ৩০ ফুট গভীরে পানির স্তর পাওয়া গেলেও বর্তমানে পানির স্তর নেমে গেছে৬০/৬৫ ফুট গভীরে। সরাসরি এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে যমুনার শাখা নদী ও নালাগুলোতে।

পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীগুলোবর্ষা মৌসুমেও পানিশূন্যতা দেখা দেয়। পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় এই শুষ্ক মৌসুমে সাড়ে৫ হাজার কিলোমিটার নৌপথের মধ্যে সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার নৌপথই এখন সমস্যা সঙ্কুল।ফলে অধিকাংশ নৌপথেই স্বাভাবিকভাবে জাহাজ চলাচল করতে পারছে না। এমনকি পাটুরিয়া নৌপথসচল রাখা হচ্ছে ড্রেজিং করে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে এক সময়১ হাজারের অধিক নদীর অস্তিত্ব ছিল। বর্তমানে ছোট-বড় শাখা নদী, নদী-উপনদী মিলিয়েনদীর সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৩১০টি।


গত চারটি বছর ধরে সরকার তিস্তার পানি বণ্টননিয়ে ভারতের সাথে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে প্রাণান্ত প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।কিন্তু কোন সুফলই আসেনি। মেনে চলা হচ্ছে না ত্রিশ বছর মেয়াদি গঙ্গা চুক্তিরশর্তসমূহ। ফলে পদ্মায় অথৈ জলরাশি আর জলোচ্ছ্বল ঢেউয়ের জায়গাজুড়ে এখন শুধু বালি আরবালি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ (পদ্মার উৎস মুখ) থেকে পাবনার ঈশ্বরদির হার্ডিঞ্জব্রিজ পর্যন্ত প্রায় দুশো কিলোমিটার জুড়ে এই বালির চর। যেন মিনি মরুভূমি। ত্রিশ বছরমেয়াদি গঙ্গা চুক্তি হলেও ভারত এই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে তার হিস্যা দেয় না।শুধু ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে ভারত গঙ্গার পানি নিয়ন্ত্রণ করায় বাংলাদেশের ৩৬টি নদীএখন মরা গাঙে পরিণত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পদ্মার বুকে চলে ট্রাক। প্রাকৃতিক ভারসাম্যনির্ভর মাথাভাঙ্গা, গড়াই, ইছামতি, আপার ভৈরব, কুমার, মধুমতি, ফটকি, বেতাই, চিত্রা, কপোতাক্ষ ও নবগঙ্গাসহ পদ্মার সকল শাখা নদী এখন পানিশূন্য।


অপরদিকে পানি উন্নয়নবোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খুলনা অঞ্চলে সুন্দরবনের নদী বাদে শিবসা, পেসা, বলেশ্বর, পশুর, আড়পাঙ্গাসিয়া, খোলপেটুয়া, আগুনমুখা, ভদ্রা, আঠারোবাকী, আলাইপুর, গাসিয়াখালী, দড়াটানা, ইছামমতী, খোলপটুয়া, রায়মঙ্গল, নমুদ সমুদ্র সোনাগাঙ্গ, ভাঙ্গরাকুঙ্গ, মালঞ্চ, সাতক্ষীরা, সুতেরখালী, মারজাতী, হারিণভাঙ্গা, মহাগঙ্গা, গলাঙ্গী, হরিপুর, সোনাই বুধহাটার গাঙ্গ, ঢাকি, গলাঘেমিয়া, উজীরপুর, কাটাখাল, গুচিয়াখালী, খাল আকরার, খাল মংলা, সোলপায়ারা আগুরমুখ মহুরী মোদলাম হাডুয়াভাঙ্গাপানগুছি, মেয়ার গাং, কাজিবাছা, কাকশিয়ালি, বলেশ্বর ও মরাভোলা নদীর নাব্যতা এতটাইকমে গেছে যে-এসব নদীর ৮০ শতাংশই এখন অস্তিত্বের সংকটে কাতর।
এ ব্যাপারে জানতেচাইলে পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন ইনকিলাবকে জানিয়েছেন, এই দুরবস্থার জন্যভারতের পানি প্রত্যাহার নীতিই দায়ী। তিনি জানান, ফারাক্কার বিরূপ প্রভাব ঠেকাতেআমরা বিকল্প গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। এ নিয়ে সমীক্ষার কাজ শেষহয়েছে। ডিপিপি তৈরি হচ্ছে। এরপর আমরা এটি একনেকে তুলবো। অন্যান্য নদীর পানির হিস্যাআদায় নিয়েও আমরা ভারতের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। তিস্তা নদীর পানি ভাগাভাগি নিয়েএকটি চুক্তিতে উপনীত হতে সরকার এখনও হাল ছাড়েনি বলে তিনি জানান। তার মতে, সমীক্ষারনামে যাই হোক না কেন-টিপাইমুখ ড্যাম নির্মাণ করাটা ভারতের জন্য অনেক কঠিন কাজ।


তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক মো. হাবিবুর রহমান জানান, ভারতেরপানি আগ্রাসী নীতির কারণে দেশের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখাদিয়েছে। শুরু হয়েছে মরুকরণ। তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। আর নাব্যতা সঙ্কটে ভুগছে দেশেরসকল নদ-নদীই। তিনি জানান, এডিবি যে চিত্র তুলে ধরেছে-দেশের নদীগুলোর অবস্থা তারচেয়েও করুণ।

 

 


 

 

Source: dailyinqilab

 

 


 

 

{jcomments on}

 
| + - | RTL - LTR