English French German Italian Portuguese Russian Spanish

Related Articles

Search

Pond

পটুয়াখালীতে অনুমোদন ছাড়াই ভরাট করা হচ্ছে সরকারি পুকুর

Print
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
 
 
 
 
কোনো সিদ্ধান্ত ও অনুমোদন ছাড়াই ড্রেজার দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে জেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরের নাকের ডগায় অবস্থিত গণপূর্ত বিভাগের প্রায় চার একর জমির ৫৩ বছরের পুরনো পুকুরটি। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিচারালয় প্রশাসনের সৌন্দর্য বর্ধন এবং পৌরবাসীর সুপেয় পানির চাহিদা মেটানো দীঘির মতো পুকুরটি হঠাত্ করেই কর্তৃপক্ষের অজান্তে ভরাটে প্রশাসনসহ জেলার সব স্তরের মানুষের মাঝে বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ।

এছাড়া ১৯৫৯ সালের গণপূর্ত বিভাগের প্রাচীন এ পুকুরটি ভরাট নিয়ে চলছে চরম নাটকীয়তা ও গোপনীয়তা। কে ভরাট করছে প্রশাসন জানে না এবং একে অপরের ওপর দায় চাপিয়েই যেন তারা নিশ্চুপ। ভরাট করা প্রতিষ্ঠান বিআইডব্লিউটিএ বলছে, এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানে না। পক্ষান্তরে পুকুর মালিক গণপূর্ত বিভাগ বলছে, পুকুর ভরাটের কোনো অনুমোদন ওই দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কাউকে দেয়া হয়নি। তবে স্থানীয় আ’লীগ নেতারা বলছেন, পুকুরটি ভরাট করে ওখানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। জানা যায়, পুকুর ভরাট করে হাসপাতাল নির্মাণের পর্যাপ্ত জমি ওই স্থানে নেই। স্থানীয়দের ধারণা শুধুই ভরাট হবে পুকুর। এতে বাড়বে জনদুর্ভোগ, দেখা দেবে সুপেয় মিঠাপানির অভাব। সৌন্দর্য হারাবে পটুয়াখালী প্রশাসনিক দফতরের কেন্দ্রস্থল। অন্যদিকে ড্রেজিংয়ের ফলে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে লাউকাঠি নদীর ওপর ৪৮৫.১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পটুয়াখালী সেতু। গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীতে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করার জন্য সরকারের একটি প্রস্তাবনা রয়েছে। তার আলোকে ওই পুকুরের জমিসহ ১৪.৭৩ একর জমির একটি প্রাথমিক প্রস্তাবনা পাঠানো হয় ঢাকা সংশ্লিষ্ট দফতরের স্থাপত্য বিভাগে। কিন্তু প্রস্তাবিত মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের ক্ষেত্রে একই স্থানে প্রায় ৩০ একর জমির প্রয়োজন। এ প্রস্তাবনা নিয়ে স্থাপত্য বিভাগ থেকে প্রশ্ন তোলেন সংশ্লিষ্ট স্থাপত্য প্রকৌশলীরা। এর ফলে জেলা গণপূর্ত বিভাগ থেকে ওই স্থাপত্য প্রকৌশলীদের সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য আহ্বান জানানো হয়। ওই স্থানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের ক্ষেত্রে জমি বরাদ্দ কিংবা অনুমোদনের বিষয়টি যখন যাচাই-বাছাই কিংবা চিঠি চালাচালির মধ্যে সীমাবদ্ধ, ঠিক তখনই স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অজান্তেই ভরাট করা হচ্ছে ৫৩ বছরের পুরনো এ পুকুরটি। সূত্রটি আরও জানায়, বর্তমানে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের অনুকূলে রয়েছে প্রায় ১৬.৫ একর জমি। বর্তমানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য গণপূর্ত বিভাগের খণ্ডিত ১৪.৭৩ একর জমির প্রস্তাবনা রয়েছে। আলাদা আলাদা খণ্ডিত জমিতে ৫০০ শয্যার ভবন এবং একাডেমিক ভবনসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করে তাতে মেডিকেল কলেজ স্থাপন চূড়ান্তভাবে সম্ভব হবে না। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের ক্ষেত্রে একই স্থানে প্রায় ৩০ একর জমির প্রয়োজন। ফলে এ পুকুর ভরাট কোনোই কাজে আসবে না। স্থানীয় আ’লীগের একটি মহলের অতিউত্সাহের কারণে পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগ ওই জমিতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে।

এদিকে ২০০৫ সালে নির্মিত ৪৮৫.১৫ মিটার দৈর্ঘ্য লাউকাঠি নদীর ওপর ২৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত পটুয়াখালী সেতুর মাত্র ২০০ গজের মধ্যে চলছে ওই পুকুর ভরাটের জন্য ড্রেজিং কাজ। ফলে ধসে পড়ার ঝুঁকিতে পড়েছে পটুয়াখালী সেতু। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কমলেন্দু মজুমদার বলেন, ‘আমরা জানি না, খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। সেতুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ড্রেজিং করা হলে অবশ্যই বাধা দেয়া হবে।’

পুকুর ভরাটের ব্যাপারে পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম কামরুজ্জামান বলেন, ‘ওই পুকুরের জমিতে মেডিকেল কলেজের জন্য প্রাথমিক একটি প্রস্তাবনা রয়েছে। তবে অনুমোদন কিংবা জমি হস্তান্তর কোনোটাই হয়নি। ভরাটের বিষয় জানা নেই। খোঁজ নেয়া হবে।’ স্থানীয় এক বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, ‘এ পুকুরটি শত শত মানুষের উপকারে আসে। এটি ভরাট হলে দুর্ভোগ হবে সীমাহীন।’
 
পটুয়াখালী পৌর মেয়র ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গায়ের জোরে তারা ঐতিহ্যবাহী পুকুরটি ভরাট করছে। মেডিকেল কলেজ স্থাপন পটুয়াখালীবাসীর প্রাণের দাবি— আমরা সবাই চাই এটির সফল বাস্তবায়ন। ‘পুকুর ভরাট করে এখানে একটি মেডিকেল কলেজ হচ্ছে আপনারা ভালো করে এ বিষয়ে পত্রিকায় নিউজ করেন।’ এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক অমিতাভ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহ আলম সরদার বলেন, ‘মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ওই পুকুরের জমি প্রস্তাবনায় রয়েছে এতটুকু জানি।’ বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ড্রেজিং দফতর সম্পূর্ণ ভিন্ন। ড্রেজার দিয়ে পুকুর ভরাটের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কোনো দফতর থেকে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।’ পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘সরেজমিন বিষয়টি দেখতে যাব। কোনো অনিয়ম পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ পরিবেশ সংগঠন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) বরিশাল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিংকন বাইন বলেন, ‘পৌর বা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জলাশয় ভরাট কিংবা ভূমির প্রকৃতি পরির্বতনের জন্য পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নেয়ার বিধান রয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০)-এর ৪ ধারার (১ ও ২), ৬ ধারার ঙ এবং ৭ ধারা অনুযায়ী এ ধরনের জলাশয় ভরাট করা যায় না। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
 
 
 
 
 
 
 

 
 
 
 
 
 
{jcomments on}
 

সীতাকুন্ডে পুকুর ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ : ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা

Print

 

 

 

17th April, 2013

 

 

 

 

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) থেকে সৌমিত্র চক্রবর্তী : সীতাকুন্ডে ৫শ’ বছরের প্রাচীন পৌরানিক স্মৃতিবিজড়িত গঙ্গাধার পুকুর ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ শুরু করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যানসহএলাকার একটি প্রভাবশালী একটি চক্র। এ ঘটনা এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভেরসঞ্চার করেছে। আর খোদ রক্ষকরাই ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে প্রকাশ্যে সুবিশালদেবোত্তর সম্পত্তি গিলে খাবার চক্রান্তে লিপ্ত হলেও প্রশাসন নির্বিকার।


স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, সীতাকু- মহাতীর্থের অবিচ্ছেদ্য অংশ বাড়বানলের (বাড়বকু-) জ্বালাময়ীকালী বাড়ির মালিকানাধীন আনুমানিক ৫শ’ বছরের প্রাচীন গঙ্গাধার পুকুরটি দখল করেসেখানে সুবিশাল মার্কেট নির্মাণ শুরু করেছে একটি প্রভাবশালী চক্র।


সরজমিনেঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বাড়বকু- বাজার সংলগ্ন পুকুরটির মধ্যে পাকাস্থাপনা করে বিরাট মার্কেট নির্মাণ চলছে। এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানছাদাকাত উল্লাহসহ একটি প্রভাবশালী চক্র পুকুরটি দখল করে একেবারে অবৈধভাবে এইমার্কেট তৈরি করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, এটি এলাকার শতশত বছরের প্রাচীন একটি পুকুর। মহাতীর্থ বাড়বানলের সম্পত্তি এটি। এই জায়গা মন্দিরেরসেবায়েতরা দেখাশুনা করেন। কিন্তু জায়গাটি বিক্রি বা হস্তান্তর করার অধিকার কারোনেই। আর পাকা স্থাপনা তো হতেই পারে না। কিন্তু চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ লোকজননিয়ে কিভাবে এসব করছেন তা আমাদের জানা নেই। পুকুরটি বাজারের মধ্যে হওয়ায় এটি দখল বামার্কেট নির্মাণের কাজের কথা সবাই জানে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। এই ব্যবসায়ী আরো বলেন, একসময় বাজারে কোন অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলে গঙ্গাধার পুকুরেরপানি দিয়ে তা নেভানো হতো। কিন্তু এখন থেকে এ ধরনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস সেভানোরজন্য পানিও পাবে না। পাশাপাশি জলাশয় ভরাটে পরিবেশের ক্ষতি তো হবেই। জানা যায়, এসম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে বাড়বানল মহাতীর্থের সেবায়েতগণ। এ বিষয়েজানতে গেলে তীর্থ ভূমি জ্বালামুখী কালী বাড়ির সেবায়েত স্মৃতি লতা ভারতী ও শ্যামলালভারতী দুলাল বলেন, এ তীর্থের সকল সম্পত্তি দেবোত্তর। দেবোত্তর সম্পত্তি কখনো বিক্রিবা হস্তান্তর করা যায় না। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বিভিন্ন মানুষেরকাছ থেকে এ সম্পত্তি কিনেছেন দাবি করে প্রভাব খাটিয়ে দখল করে ফেলেছেন। তারা আরোবলেন, বর্তমানে যেখানে মার্কেট করার অপচেষ্টা হচ্ছে সে গঙ্গাধার পুকুরটির আয়তন ১.৬৯একর। এটি ছাড়া আরো মহাতীর্থের আরো ৩টি পুকুর দখল করে ফেলেছে দুষ্কৃতিকারী চক্র।শুধু তাই নয়, তীর্থের জায়গায় বেশকিছু ভাড়া ঘর আছে। চক্রটি সেসব ঘরে আগুন লাগিয়েউচ্ছেদ করে জায়গাটি দখল করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। এভাবে বাড়বকু- তীর্থের১৮.২২ একর সম্পত্তির মধ্যে ৯ একরই বেদখল হয়ে গেছে। এ বিষয়ে তারা বিভিন্ন সময়েমামলাও করেছেন। মামলায় সুনির্দিষ্ট ১৩ জনসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।কিন্তু প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে তারা মহাতীর্থের সম্পদহরিলুটে মেতেছে। সেবায়েতগণ অবিলম্বে এই তীর্থের মূল্যবান সম্পদ রক্ষা ও মার্কেটনির্মাণ বন্ধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে ঐতিহ্যবাহী গঙ্গাধারপুকুরটি ভরাট করে সেখানে মার্কেট নির্মাণের কথা স্বীকার করেন বাড়বকু- ইউপিচেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, পুকুরটি বহুবছর আগেআমার বাবা, কাকা, জেঠাসহ কয়েকজন কিনেছিলেন। সেই সূত্রে আমরা মালিক হয়ে নিজের জায়গায়মার্কেট করছি। দেবোত্তর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় হয় কিনা এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান বলেন, মোহন্তরা (সেবায়েত) বিশেষ প্রয়োজনে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে বিক্রি করতে পারেন।সেভাবে তারা বিক্রি করলে আমাদের পূর্বপুরুষরা ক্রয় করেছেন। এ বিষয়ে সীতাকু- উপজেলানির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীনুল ইমরান বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।তাই আমি বিষয়টি জানি না। আমি দু’পক্ষের সাথে কথা বলে দেখব আসলে ঘটনাটা কি। তারপরঅবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 


 

 

Source: dailyinqilab

 

 


 

 

 

{jcomments on}

 

মোহাম্মদপুর বড় পুকুরও কি হারিয়ে যাবে?

Print

 

 

আশরাফ উল্লাহ | তারিখ: ০৪-১১-২০১২

 

দেখে মনে হবে পরিত্যক্ত কোনো ডোবা। চারদিকে আবর্জনা আর কচুরিপানা। দুর্গন্ধযুক্ত পানি আর নোংরা পরিবেশ। বোঝার উপায় নেই এটি ছিল টলটলে পানির একটি পুকুর। ইতিমধ্যে পুকুরের কিছু অংশে গড়ে উঠেছে দোকানপাট ও ঘরবাড়ি। বাকি অংশও কৌশলে ভরাটের চেষ্টা চলছে। এমন করুণ হাল এখন মুরাদপুর এলাকার ব্যক্তি মালিকানাধীন মোহাম্মদপুর বড় পুকুরের (চৌধুরী পুকুর)।

মোহাম্মদপুর সমাজকল্যাণ পরিষদ সূত্রে জানা যায়, পুকুরটি শত বছরের পুরোনো। এর মালিক ঠান্ডা মিয়া চৌধুরীর উত্তরসূরিরাই পুকুরটি দেখভাল করছেন। স্থানীয় লোকজন জানান, গত ১০ বছর আগেও আশপাশের বাসিন্দারা এ পুকুরের পানি দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতেন। ঈদের দিন ঊষালগ্নে বাড়ির বউ-ঝিরা এ পুকুরে গোসল করার রেওয়াজ ছিল। এসব এখন অতীত। আগুন লাগলে এলাকার পানির প্রধান উৎস এ পুকুর। সাড়ে তিন কানি আয়তনের পুকুরটি এখন এক কানিতে এসে ঠেকেছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন হওয়ায় পুকুর ভরাট চললেও কেউ প্রতিবাদ করছেন না বলে জানান তাঁরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, পুকুর ভরাট করে দক্ষিণ পাড়ে নির্মাণ করা হয়েছে চারটি দোকান। দোকানের পেছনের অংশের ভিত পুকুরের পানিতেই। দোকানের পাশের আবদুল্লাহ শাহের মাজারের পেছনেও ভরাটের জন্য মাটি ফেলা হচ্ছে। উত্তর পাড়ে গড়ে উঠেছে বাড়ি। বাড়িটির মালিক ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি পুকুরের অন্যতম অংশীদার।

পুকুর ভরাটের বিষয়টি অস্বীকার করে ওয়াহিদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, পুকুর ভরাট করে কোনো বাড়ি বা দোকান নির্মাণ করা হয়নি। এসব করা হয়েছে পুকুরের পাড়ে। আর পুকুরটা তো স্থানীয় লোকজনই নষ্ট করে ফেলেছে। এটি এখন আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এটি সংস্কার করে মাছ চাষ করার জন্য বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু বর্ষায় জলাবদ্ধতার জন্য সম্ভব হয় না।’ ১৯৩৯ পুকুর উন্নয়ন আইনে বলা হয়েছে, বেসরকারি মালিকানাধীন পতিত হিসেবে চিহ্নিত কোনো দিঘি বা পুকুর প্রয়োজনীয় সংস্কারমূলক কাজ করে তা মাছ চাষের আওতায় আনার জন্য জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুকুর মালিককে নোটিশ দেবেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, নোটিশ দেওয়ার পর যদি পুকুরের মালিক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাছ চাষ না করেন, তাহলে জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট পুকুরটিকে একটি পতিত পুকুর হিসেবে ঘোষণা করে ওটা অধিগ্রহণ করবেন। কিন্তু মোহাম্মদপুর বড় পুকুরের ক্ষেত্রে এসব কিছুই হয়নি। মৎস্য অধিদপ্তর পুকুরটি সংরক্ষণের জন্য কোনো প্রস্তাব এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসনকে দেয়নি।

পুকুর ভরাট প্রসঙ্গে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম ইকবাল হোসেন বলেন, ‘পুকুর ভরাট করে দোকান ও ঘর নির্মাণ করা হয়েছে আট-নয় বছর আগে। জায়গার দাম বেড়ে যাওয়ায় হয়তো ভরাটের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। তবে ওই এলাকার জন্য পুকুরটি খুব দরকার। স্থানীয় লোকজন চাইলে মালিকদের সঙ্গে কথা বলে পুকুর সংরক্ষণের জন্য আমরা উদ্যোগ নেব। এ প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মোহাম্মদপুর বড় পুকুরটি ওই এলাকার পানির বড় উৎস। আগুন লাগলে নেভানোর কাজে ওই পুকুরের পানিই ব্যবহার করা হয়। এটি ভরাট হয়ে গেলে দুর্যোগের সময় পানি পাবে না এলাকার লোকজন। পুকুরটি রক্ষার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাব।’

 

 

 


 

 

Source : Prothom ALo

 

 

শতবর্ষের দিঘী ভরাট করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ

Print

 

 

13th April, 2013

 

 

 

 

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : বাঁশখালীতে শত বর্ষের দিঘী ভরাট করে মার্কেট ওদোকানঘর নির্মাণ করছে ভূমিদস্যুরা। উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের বাণীগ্রামব্রাহ্মনপাড়ার টেক এলাকায় ২০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে অনুরেখা রায় নামে এক হিন্দুমহিলার মালিকানাধীন ২ একর জায়গার প্রতিষ্ঠিত বিশাল আকারে শত বর্ষের ঐতিহ্যবাহীব্রাহ্মনপাড়া দিঘী ভরাট করে জবর দখলের মাধ্যমে রাতারাতি দোকান ঘর ও মার্কেট নির্মাণকরা হচ্ছে। প্রতিপক্ষ চিত্তরঞ্জন ভট্টাচার্য্যরে ছেলে অপূর্ব ভট্টাচার্য্য ও তারলোকজন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার ছমিউদ্দিনের সহযোগিতায় এই দখল প্রক্রিয়াসম্পন্ন করেন বলে অভিযোগ করেছেন জায়গার মালিক মৃত সুনীল চন্দ্র রায়ের মেয়ে অনুরেখারায় ও তার আমমোক্তার নুরুল আলমের ছেলে আসাদুজ্জামান। এই বিষয়ে চেয়ারম্যানসহঅভিযুক্তদের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৭ বরাবরেও একটি লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। অনুরেখা রায়জানান, চেয়ারম্যান আমাকে মাত্র কয়েকমাস পূর্বে জায়গাটির একমাত্র মালিক বলে লিখিতদিলেও চাঁদা না পেয়ে বর্তমানে তিনি আমার প্রতিপক্ষদের জায়গা জবর দখলে উস্কেদিচ্ছেন। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করেও ফল পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ অনুরেখার। তবেচেয়ারম্যান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন-আমি অনুরেখাকে যে লিখিত প্রতিবেদন দিয়েছি তাএই জায়গার নয়। এটির মালিক চিত্তরঞ্জন ভট্টাচার্য্যরে ছেলে অপূর্ব ভট্টাচার্য্য।তিনি চাঁদাদাবির অভিযোগও বানোয়াট বলে উল্লেখ করেন। এই ঘটনায় বাঁশখালীর বাণীগ্রামেদুটি পক্ষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা গেছে, উপজেলার সাধনপুরইউনিয়নের বাণীগ্রাম এলাকার মৃত সুনীল চন্দ্র রায়ের মেয়ে অনুরেখা রায়ের মালিকানাধীন২ একর জায়গার প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী ভ্রাহ্মনপাড়া দিঘীটি রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগেগত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় অপূর্ব ভট্টাচার্য্যরে নেতৃত্বে কতিপয় ব্যক্তি ভরাট ও জবরদখল করে সেখানে রাতারাতি দোকান ও মার্কেট নির্মাণ করেন। এই ঘটনায় আদালতে লিখিতআবেদন করা হলে আদালত জায়গাটি জবর দখল না করতে প্রতিপক্ষদের প্রতি নির্দেশ জারিকরেন। আদালতের আদেশের পরও বাঁশখালী থানা পুলিশের অসহযোগিতায় জায়গাটি জবর দখল হয়েযায়। পুলিশ জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি। অনুরেখা রায় জানান, সন্ত্রাসীরা তার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা দাবি করেছিল। এই টাকা না পেয়ে রাতারাতি আমারজায়গা ও দিঘী ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, যুগ যুগ ধরেদখলে থাকা আমার পৈতৃক জায়গাটি দখল করার পর পর বর্তমানে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকেহত্যার হুমকি দিচ্ছে। তিনি সন্ত্রাসীদের ভয়ে বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন বলেও দাবিকরে সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ আদালতের নির্দেশ পালন করলে সন্ত্রাসীরা জায়গা দখল করেমার্কেট নির্মাণ করতে পারতো না। বাঁশখালী থানার সদ্য বিদায়ী ওসি আবদুস সবুর জানান, ঘটনা অবগত হওয়ার পর পরই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও উত্তেজনা থামিয়েদিয়েছে। আদালতের পরবর্তি নির্দেশ অনুসারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

 

 


 

 

Source: dailyinqilab

 

 


 

 

 

{jcomments on}

 

পাহাড় কেটে পুকুর ভরাট ও গণশৌচাগার দখল!

Print

 

 

বান্দরবান প্রতিনিধি | তারিখ: ২৫-০৩-২০১৩

 

 

বান্দরবানের লামা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান গণশৌচাগারসহ সরকারি জমি দখল ও পাহাড় কেটে পুকুর ভরাট করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি পানিপ্রবাহ ঘেঁষে পায়খানাঘর করে লামা পৌরসভার প্রাণ হিসেবে পরিচিত লাইনঝিড়ির পানিও দূষিত করছেন বলে এলাকার লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।


লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোহামঞ্চদ ইসমাইল বলেছেন, তিনি পৌর চেয়ারম্যান থাকাকালে ওই পুকুর খনন ও গণশৌগার নির্মাণ করেছেন। সেগুলো দখলের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ঘটনা সত্য হলে ঝিড়ির পানিদূষণসহ পরিবেশগত সমস্যা হতে পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখন কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি বলেও তিনি জানান।


স্থানীয় লোকজন বলেছেন, লামা পৌরসভার লাইনঝিড়ি (ছোট ছড়া) ও লামা-চকরিয়া-আলীকদম সড়কের ত্রিমোহনীসংলগ্ন এলাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেতারা বেগম ৪০ শতক জমি কিনেছেন। লাইনঝিড়ির বাসিন্দা জাকির হোসেন ও মোহামঞ্চদ আলম বলেছেন, সেতারা বেগম জমি কিনলেও সেখানকার পুকুর, পাশে সড়ক বিভাগের (সওজ) জায়গা ও গণশৌচাগার সরকারি সম্পদ। কিন্তু তিনি সীমানা খুঁটি স্থাপন করে সওজের জমি ও গণশৌচাগার দখল করেছেন।


সওজের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেছেন, সেতারা বেগম সড়কের জায়গা ও গণশৌচাগার দখলের সময় জমি পরিমাপের জন্য তাঁদের ডেকেছিলেন। কিন্তু সেখানে তাঁদের কথায় কোনো কাজ হবে না এবং প্রতিবাদ করলে অপদস্থ হওয়ার আশঙ্কায় তাঁরা যাননি।


অভিযোগের ব্যাপারে সেতারা বেগম বলেছেন, তিনি পাহাড় কাটেননি। প্রতিবেশীরা তাঁদের বাড়ির জন্য ঝুঁকি হওয়ায় পাহাড়ের কিছু অংশ কেটে তাঁর মালিকানার জমির পুকুরের একাংশে মাটি ফেলেছেন। সওজের জমি ও পৌরসভার গণশৌচাগার দখলের কথা অস্বীকার করে সেতারা বেগম বলেছেন, সওজের জায়গা বাদ দিয়ে তিনি সীমানা খুঁটি স্থাপন করেছেন। শৌচাগারটি পরিত্যক্ত ছিল এবং কেউ ব্যবহার করতে চাইলে ফটক খুলে রাখা হবে।


সেতারা বেগম আরও বলেন, লাইনঝিড়ির সংলগ্ন তাঁর জমির ওপর তিনি সংরক্ষণ দেয়াল ও পায়খানাঘর করেছেন। এতে কোনো পরিবেশদূষণের সমস্যা হবে না।


লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেছেন, কেউ লিখিত অভিযোগ না দিলেও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেতারা বেগমের লাইনঝিড়ির ব্যাপারে লোকজন প্রতিনিয়ত অভিযোগ করছেন। এ জন্য তিনি সরেজমিনে গিয়ে আপাতত কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেছেন। এখনো তিনি কাজ করছেন কি না, বিষয়টি আরও তদন্ত করা হবে বলে তিনি জানান।

 

 


 

 

Source: prothom-alo

 

 


 

 

 

{jcomments on}

 
| + - | RTL - LTR