দিনাজপুর প্রতিনিধি
নিষিদ্ধ ঘোষিত কীটনাশকের দেদার ব্যবহার হচ্ছে দিনাজপুর জেলায়। আশঙ্কা দেখা দিয়েছে কৃষিক্ষেত্রে বিপর্যয়ের। কৃষি বিভাগ এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, গত বছরের জুনে বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির ৩১৩টি কীটনাশক নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং। কীটনাশক কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং নিবন্ধন বা অনুমোদন দেয়। লাইসেন্স বাতিলের সময় কর্তৃপক্ষ বলেছিল, লাইসেন্স পাওয়ার পর মান বজায় না রাখা এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় নিম্নমানের কীটনাশকের লাইসেন্স বাতিল করা হলো। কিন্তু এই বাতিলের পরও দিনাজপুরের বাজারে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে এসব কীটনাশক।
এ ব্যাপারে কৃষিবিশেষজ্ঞরা জানান, এসব কীটনাশকের ব্যবহারে কৃষিক্ষেত্রে বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে ষোলো আনা। পর্যাপ্ত সার ব্যবহারের পরও এ অঞ্চলের কৃষিক্ষেত্রের উত্পাদন শক্তি বৃদ্ধি না পাওয়ার একটি প্রধান হেতু নিষিদ্ধ ও নিম্নমানের কীটনাশক ব্যবহার।
দিনাজপুর শহরের কীটনাশকের এক ডিলার জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত কীটনাশকের বাজারজাতকরণ ও উত্পাদন কোনোটিই বন্ধ হয়নি। কৃষি বিভাগও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং কীটনাশক কোম্পানিগুলো কৃষি বিভাগকে ম্যানেজ করে অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে কৃষক হচ্ছেন সর্বস্বান্ত।
Source: amardeshonline
{jcomments on}