English French German Italian Portuguese Russian Spanish

Related Articles

Search

শিতলক্ষ্যা Shitolakha

শীতলক্ষ্যার দুই তীর অবৈধ দখলে, কাঁচপুর ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ

Print

 

লেখক: হাবিবুর রহমান বাদল, নারায়ণগঞ্জ | রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১২, ৩০ মাঘ ১৪১৮

Details

শীতলক্ষ্যার দুই তীরই অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে। বালু বিক্রির গদি স্থাপন ও পাথর ভাঙার মেশিন বসিয়ে নদীর তীর দখলে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। শিল্প-কারখানার মালিকরাও এ কাজে পিছিয়ে নেই। তারা ক্রমেই নদীর গভীরে পাইলিংয়ের মাধ্যমে শিল্প-কারখানা গড়ে তুলছেন। কেউ কেউ নদীর তীরে মাটি ভরাট করে ঘরবাড়ি, দোকানপাট সম্প্রসারণ করে প্রতিযোগিতা করে নদী দখলে নিচ্ছেন। অবিলম্বে নদীর তীর দখলকারীদের উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

সারাদেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চললেও শীতলক্ষ্যার রূপগঞ্জ অংশে উচ্ছেদে এসে থেমে যায়। একাধিকবার নদীর দুই তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর কিছুদিন পরই আবারও নদীর তীর চলে যায় অবৈধ দখলদারদের হাতে। তবে কয়েকটি মিল কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, নদী দখলে তাদের বৈধতা রয়েছে। তারা এর বেশি কিছু বলতে অনীহা প্রকাশ করেন।

কাঁচপুর ব্রীজের উত্তর পাশ থেকে ঘোড়াশাল ব্রীজ পর্যন্ত শীতলক্ষ্যার দুই তীর বিশেষ করে পূর্ব তীরে দেড় শতাধিক শিল্প-কারখানার অধিকাংশই নদী দখল করছে। স্থানে স্থানে এতটাই ভরাট করা হয়েছে যে, নদী একেবারে সংকুচিত হয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, দখলদারদের উচ্ছেদের আবেদন করা হলেও এদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।

শীতলক্ষ্যার তীরে সামান্য জমি ক্রয় করে নানা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে নদী ভরাট করা হচ্ছে। শুধু মুড়াপাড়া এলাকার তিনটি কারখানা শীতলক্ষ্যার গভীরে পাইলিং করে নদী দখলে নিয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ও উপজেলা ভূমি অফিসের সঙ্গে মিল-কারখানার লোকজন নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া মুড়াপাড়ার শতবর্ষের শ্মশানখোলাটি দীর্ঘদিন ধরে বেদখল রয়েছে।

শীতলক্ষ্যা নদীর তীর দখল করে বালু ও পাথর ব্যবসার কারণেই কাঁচপুর ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পাথর ভাঙার মেশিনের ঝাঁকুনি ও নদীর পাড়ে অতিরিক্ত মালবাহী ট্রাকের যাতায়াতও ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণ হিসেবে স্থানীয়রা মনে করছেন। কাঁচপুর ব্রিজ এলাকায় শীতলক্ষ্যা সবচেয়ে বেশি সংকুচিত হয়ে পড়েছে।

শীতলক্ষ্যার তীর ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচপুর, রূপগঞ্জ থানা, হাটাবো, কাঞ্চন ব্রিজ এলাকা সবচেয়ে বেশি সংকুচিত হয়ে পড়েছে। নদীর মাঝপথেও অনেক শিল্প-কারখানার মালিকেরা পাইলিং করে জেটি তৈরি করে দখলে নিয়েছে। উপজেলার কায়েতপাড়া এলাকায় জাহাজ তৈরির কারখানার মালিকেরাও নদীর বিশাল একটি অংশ দখল করে নিয়েছে।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন জানান, অবৈধ দখলে নেয়া শীতলক্ষ্যার তীর উচ্ছেদে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

Source : Ittefaq

 


 

 
| + - | RTL - LTR