English French German Italian Portuguese Russian Spanish

Related Articles

Search

যমুনা Jomuna

নাব্যতা সংকটে যমুনার ৫টি নৌ-রুট বন্ধ

Print

 

 

কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা

 

 

 

কাজীপুর উপজেলার পূর্ব সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে হরাস পাওয়ায় নদীবক্ষে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর-ডুবোচর। ফলে যমুনা নদীর ৫টি রুটে নৌ-চলাচল দারুণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। নৌ চলাচল বন্ধ হয়েছে ৫টি রুটে। উপজেলার মেঘাই ঘাট থেকে প্রতিদিন নাটুয়ারপাড়া, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, খাসরাজবাড়ী, চরগিরিশি, মনসুরনগর, সিরাজগঞ্জসহ ১০টি রুটে শতাধিক ইঞ্জিনচালিত নৌকা যাতায়াত করতো। শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই নদীর নাব্যতা কমে চর জেগে উঠায় নৌযান যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক বেশি পথ ঘুরে নৌকাগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। যমুনা নদীতে পানি কমে যাওয়ায় মেঘাই ঘাট থেকে ৩ কিলোমিটার দূরের নাটুয়ারপাড়া ঘাটে পৌঁছতে এখন প্রায় ১০/১১ কিলোমিটার পথ যেতে হচ্ছে। এসব রুটে অন্য কোন যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তাছাড়া নদীর পানি কমে নৌকার ঘাট দূরে চলে যাওয়ায় যাত্রীদের দীর্ঘ বালুচর পায়ে হেঁটে নৌকায় চড়তে হচ্ছে। এক্ষেত্রে মালামালসহ মহিলা যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এদিকে এখনও যমুনার পানি কমতে থাকায় ইতোমধ্যে ৫টি রুটে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

 

 

Source: ittefaq

 

 


 

 

 

{jcomments on}

 

জামালপুরে যমুনার তীর সংরক্ষণ বাঁধনির্মাণ কাজে ধীর গতি

Print

লেখক: জামালপুর প্রতিনিধি | শনি, ৩ মার্চ ২০১২, ২০ ফাল্গুন ১৪১৮

জামালপুরে যমুনার করাল গ্রাস থেকে রক্ষার জন্য ৩৬৬ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ নির্মাণাধীন কাজ গত বছর শুরু হলেও এবার শুষ্ক মৌসুমে কাজ শুরু না হওয়ায় এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ বাঁধের ডাম্পিং কাজ শুরু হয়। কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় পারিসা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, এমএস কনস্ট্রাকশন এবং ভাওয়াল ট্রেড কনস্ট্রাকশন। তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভাওয়াল ট্রেড কনস্ট্রাকশন অতি বিলম্বে এবং ভরা বন্যায় কাজ শুরু করায় শুরুতেই দু’টি স্পটে প্রায় ১৫০০ মিটার ডাম্পিং নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

 

পাউবো সূত্রে জানা গেছে যমুনার বাম তীর দেওয়ানগঞ্জের ফুটানীবাজার থেকে শুরু করে ইসলামপুরের পার্থশী সীমানা পর্যন্ত ২কি.মি. ইসলামপুর উপজেলায় ৫ কি.মি.এবং সরিষাবাড়ী উপজেলায় ৩ কি.মি. এলাকায় ডাম্পিং এবং কংক্রিট ব্লক দ্বারা পাইলিং করার অনুমোদন পায়। ২০১১ সাল থেকে ২০১৩ সাল— এই ৩ বছরের মধ্যে ৩৬৬ কোটি টাকায় কাজ সমাপ্ত করার কথা রয়েছে।

প্রথম বছর জিওট্রেক্স ব্যাগে বালি ভর্তি করে ডাম্পিং দ্বিতীয় বছর ডাম্পিং-এর সাথে কংক্রিট ব্লক তৈরি করে পাইলিং কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। ২০১১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ২৪ কোটি টাকা এবং জুলাই/১১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর/১১ পর্যন্ত ২১ কোটি টাকা সর্বমোট ৪৫ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। অথচ ৩৬৬ কোটি টাকার কাজ ৩ বছরে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও এ বছর মাত্র বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র ৭ কোটি টাকা যা চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ অপ্রতুল। বর্তমানে শুষ্ক মৌসুম অতিবাহিতের পরও কাজ শুরু না হওয়ায় এলাকাবাসী ক্রমশই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। গত ২০ বছরে যমুনার ভাঙ্গনে এলাকার মানুষ বাস্তুহারা হয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। দীর্ঘ হচ্ছে অসহায়-সম্বলহীন মানুষের ভিড়।

যমুনা ভাঙ্গনে দেশের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী রেলফেরি বাহাদুরাবাদ ঘাট ও নৌ-থানা নদীতে বিলীন হওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছে বিভিন্ন পেশার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হয়েছে ৫০ হাজার ঘরবাড়ি, ২০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি, পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ২৫টি সরকারি ও রেজিটার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়,পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,তিনটি দাখিল মাদরাসা, একটি ফাজিল মাদরাসা, ছয়টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস, তিনটি কমিউনিটি ক্লিনিক, তিনটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লে­ক্স, নয়টি পোষ্টঅফিস,সাতটি বাজার, নোয়ারপাড়া কৃষি অফিসসহ অসংখ্য পাকা ও কাঁচা রাস্তাঘাট ও কোটি টাকা মূল্যের ২টি ব্রিজ,অসংখ্য কার্লভাট। এছাড়া নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের ৭৫%, বেলগাছার ৭০% ও কুলকান্দী ইউনিয়নের ৭৫%, পাথর্শীর ৩৫ ভাগ জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। পাথর্শী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসমত আলী খান জানান, গত দু’বছরে তার ইউনিয়নের ১৫ কিলোমিটার রেল লাইনসহ ৩৫% এলাকা নদীতে বিলিন হয়েছে।

নদী ভাঙনের কারণে ইসলামপুরে ছয়টি ইউনিয়নের নির্বাচন ৯ বছর যাবত্ স্থগিত রয়েছে। এছাড়া দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ইতোমধ্যে যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে নদী থেকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ও জিল বাংলা চিনিকল ০.৭৫ কিলোমিটার এবং ইসলামপুর উপজেলা পরিষদ থেকে ৩/৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে। যমুনার বাম তীর গত ২০ বছরে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ভেঙ্গে পূর্বদিকে সরে এসেছে। এ ব্যাপারে বিগত দিনে ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে অসংখ্য সংবাদ প্রকাশ পায়। সরকার যমুনার বাম তীর সংরক্ষণের জন্য ৩ বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। জামালপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নিজামুল হক ভুইয়া জানান, ইতিমধ্যে বরাদ্দকৃত ৭ কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছে। তবে বরাদ্দ অপ্রতুল বলে জানান।


Source : Ittefaq

 

আদি যমুনায় প্রবাহ সৃষ্টির দাবিতে পদযাত্রা

Print

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা | তারিখ: ১৫-০৩-২০১৩

 

 

আদি যমুনা নদীতে প্রবাহ সৃষ্টির দাবিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর সদরে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার যমুনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।


সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ছোট ছোট দলে পদযাত্রা করে শ্যামনগর উপজেলা সদরে সমবেত হন। পরে কয়েক শ মানুষ শ্যামনগর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদে উপস্থিত সাংসদ এইচ এম গোলাম রেজা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল বারী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দৌলতুজ্জামান খানের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন।


এ সময় যমুনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুনছুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুন-অর-রশীদ, বেসরকারি সংস্থা প্রগতির কর্মসূচি কর্মকর্তা শেখ রফিকুল ইসলাম, সুপর্ণা কর্মকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


সাংসদ এইচ এম গোলাম রেজা জানান, আদি যমুনা উন্মুক্ত করার দাবি এখন এলাকার অধিকাংশ মানুষের। ইতিমধ্যে শ্যামনগর সদরে যমুনা নদীর ওপর দুটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলা সদরে ঈদগাহ ও শ্মশানের সামনের সড়কের ওপর সেতু নির্মাণের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


শ্যামনগর আতরজান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আশেক-ই-ইলাহী জানান, আদি যমুনার মাঝখান দিয়ে শ্যামনগর-মুন্সীগঞ্জ সড়ক তৈরি করা হয়েছে। আদি যমুনায় প্রবাহ সৃষ্টি করলে সড়ক কেটে সেখানে সেতু নির্মাণ করতে হবে। কারণ, সড়কে দুপাশে যমুনা নদী বিদ্যমান আছে।

 

 

Source: prothom-alo

 

 


 

 

 

{jcomments on}

 
| + - | RTL - LTR