English French German Italian Portuguese Russian Spanish

Related Articles

Search

সারি Shari

প্রধান অতিথি মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী সাঙমা : সারি নদীর উজানের বাঁধ উদ্বোধন ২৯ ফেব্রুয়ারি

Print

{jcomments on}

এটিএম হায়দার, সিলেট
সিলেটের অন্যতম পাহাড়ি নদী সারির উজানে জৈন্তিয়া হিল ডিস্ট্রিকের মাইনথ্রু নদীতে নির্মিত বিদ্যুত্ উত্পাদন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ড. মুকুল সাঙমা প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ১২৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মাইনথ্রু-লেসাকা হাইডেল ইলেকট্রিক ড্যামের প্রথম ইউনিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এর আগে একাধিক কারণে এই প্রকল্পের উদ্বোধন বিলম্বিত করা হয়। প্রকল্পের নির্মাতা ও রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান মেঘালয়া ইলেকট্রিসিটি করপোরেশন লিমিটেডের (এমইসিএল) চিফ প্রজেক্ট ম্যানেজার ই. লাইংডু দ্যা মেঘালয় টাইমস’কে এ খবর জানিয়েছেন। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবুল কালাম এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২০০২ সালের ২৫ অক্টোবর মাইনথ্রু-লেসাকা প্রজেক্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। প্রজেক্ট ম্যানেজার সাংবাদিকদের আরও বলেন, এর দ্বিতীয় ইউনিটও প্রস্তুত, আগামী মাসে উত্পাদনে যাবে। প্রতিটি ৪২ ইউনিট করে মোট তিনটি ইউনিটে মোট বিদ্যুত্ উত্পাদন ধরা হয়েছে ১২৬ মেগাওয়াট। শুরুতে তিনশ’ কোটি টাকার এই প্রকল্পের ব্যয়ভার এক হাজার কোটিতে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন. ৯ মাত্রার বেশি ভূমিকম্পের বিষয় লক্ষ্য রেখে এর ডিজাইন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সারি নদীর উজানে বাঁধ নির্মাণের খবর গতবছর সর্বপ্রথম দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরই মধ্যে সারি বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে জৈন্তা গোয়াইনঘাটে একাধিক প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সম্মিলিত পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বে সিলেট-জাফলং রোডমার্চও অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, ভাটিতে একাধিক নামে সিলেটের জৈন্তিয়া, গোয়াইনঘাট ও সদর উত্তরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত সারি নদী মূলত এ অঞ্চলের ‘লাইফ লাইন’ হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে ডাউকি চ্যুতির কাছাকাছি মাইনথ্রু লেসাকা হাইড্রো ইলেকট্রিক ড্যামটির অবস্থান। প্রকল্পটি মাইনথ্রু ও অপর দুই উত্স লামু নদী এবং উমসরিয়াং নদীর ত্রিমুখ সঙ্গমে অবস্থিত। মেঘালয়ের জৈন্তিয়া হিল ডিস্ট্রিকের আমলারিম ব্লকের পাহাড়ি খরস্রোতা মাইনথ্রু নদীর ওপর ৬৩ মিটার উঁচু ড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতি ইউনিটে ৪২ মেগাওয়াট করে তিনটি ইউনিটে মোট ১২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ ঊত্পাদনের লক্ষ্যে এটি নির্মাণ করা হয়।
 

প্রতিবাদে সিলেটে মানববন্ধন : সারী নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে ভারতের বিদ্যুেকন্দ্র আজ উদ্বোধন

Print
 
 
জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি
 
 
 
 
 
 
 
সিলেট জেলার সারী নদীর উজানে মাইন্ড্রো লেসকা হাইড্রো ইলেক্ট্রিক ড্যাম নির্মাণ করে ১ম ইউনিট ৪২ মেঘাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে আজ। এরই প্রতিবাদে জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাটসহ সিলেটবাসী আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। গতকাল সকাল ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সারী নদী বাঁচাও আন্দোলন ও বাপা সিলেটের যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বিভিন্ন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙ্ঘন করে পেশীশক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশকে মরুভূমি করার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর উত্সমুখে ড্যাম বা বাঁধ দিয়ে পানির গতিরোধ করে বিদ্যুত্ উত্পাদন করছে। এতেকরে বাংলাদেশের একটি ব্যাপক অঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। যার ফলে কৃষি ও পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। অন্যদিকে জীববৈচিত্র হারিয়ে যাচ্ছে এবং কিছু সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মন্দা খরাসহ দুর্ভিক্ষের মতো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। বক্তারা আরও বলেন, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল এলাকা দিয়ে সারী নদী ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উজানে ডাউকী চ্যুতির কাছে লেসকা মাইনথ্রু হাইড্রো ইলেক্ট্রিক বাঁধ দিয়ে ৩টি ইউনিটে ৪২ মেঘাওয়াট করে মোট ১২৬ মেঘাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদনের কাজ ২০০২ সালে ভারতের তত্কালীন রাষ্টপতি ড. এপিজে আবদুল কালাম এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে ১ম ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। এ সংবাদ সিলেট তথা সংশ্লিষ্ট এলাকায় চাউর হলে এলাকাবাসী, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন প্রতিবাদ করলেও বর্তমান বাংলাদেশ সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আজ মাইন্ড্রো নামক স্থানে নির্মিত ড্যামের ওপর ১ম ইউনিটের বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুত্ উত্পাদনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. মুকুল সাংমা। বক্তারা আরও বলেন, যদি শিগগিরই বাংলাদেশ সরকার বাঁধের ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে সারী নদীর পানি হিস্যা আদায়ের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে সিলেটবাসীসহ দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে লংমার্চ, প্রতীকী অনশন, হরতাল, অবরোধ ও প্রতিবাদ সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সারী নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবদুল হাই আল-হাদির সভাপতিত্বে ও বাপা সিলেট জেলা সেক্রেটারি আবদুল করীম কিমের পরিচালনায় শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন সারী নদী বাঁচাও আন্দোলনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক মনজুর আহমদ। এতে বক্তব্য রাখেন বাপার সিলেটের সহ-সভাপতি ও সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদ, মাছরাঙ্গা টিভির সিলেট বিভাগীয় আঞ্চলিক প্রতিনিধি সাংবাদিক আল-আজাদ, কমরেড সিকন্দর আলী, শাবির সাবেক রেজিস্ট্রার ড. জামিল আহমেদ চৌধুরী, সাংবাদিক আবদুল মালেক জাকা, এনটিভির সিলেট বুরো চিফ ময়নুল হক বুলবুল, যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার সংগ্রাম সিংহ, সাংবাদিক ইকরামুল করীম ইপু, সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ, সারী নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন, মনিপুরী সমাজকল্যাণ সমিতির সভাপতি নির্মল কুমার সিংহ, গোয়াইনঘাট উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কানাইঘাট সচেতন নাগরিক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আবদুর রহিম, গোয়াইনঘাট মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি নূর আহমদ, সারী নদী বাঁচাও আন্দোলনের সেক্রেটারি মাহবুবুল আলম, সদস্য আলী আকবর রাজন, বিনয় দেব, জয়নুল আবেদীন, আলীম উদ্দিন, মীর হোসেন, আবুল খয়ের, রাসেল আহমদ, শফি উল্লাহ মাসরুর, রিয়াজ উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন, মেহদী হাসান প্রমুখ।
 
 
 
 
 

Source: Amar Desh
 
| + - | RTL - LTR