লেখক: সদরপুর(ফরিদপুর)সংবাদদাতা | শনি, ৩ মার্চ ২০১২, ২০ ফাল্গুন ১৪১৮
ঐতিহ্যবাহী খরস্রোতা আড়িয়াল খাঁ নদের উত্সমুখ শুকিয়ে গেছে। বর্তমানে নৌরুটে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। নদের নাব্যতা রক্ষায় উত্সমুখের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা জরুরি খনন করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর এলাকা থেকে হাজার হাজার বছর পূর্ব থেকে পদ্মার অন্যতম শাখা নদ হিসেবে আড়িয়াল খাঁ নদের উত্পত্তি। এরপর ভাঙ্গা, মাদারিপুর, বরিশাল ও পিরোজপুর হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলেছে। কালের প্রভাবে আবহমানকাল থেকেই আড়িয়াল খাঁর বুকে স্টীমার,লঞ্চ, গয়নসিংসহ বড় বড় নৌকা চলতো। সমপ্রতি বছরগুলোতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সাথে লঞ্চ ও ট্রলারযোগে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সাথে নৌযোগাযোগের নেটওয়ার্ক শুরু হয়। |
বিগত ৩ বছর যাবত্ আড়িয়াল খাঁর উত্সমুখ সদরপুর উপজেলার আকোটেরচরের শয়তানখালী এলাকা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে সরে যাওয়ায় উত্সমুখে বালুর স্তর পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে নদীটির বুকে কোন পানি প্রবাহ না থাকায় নৌরুট বন্ধ হয়ে গেছে। সাথে সাথে শতশত মাইল বিস্তৃত নদের দু’কূলের কৃষকরা পানি সেচ করে ইরি-বোরোসহ বিভিন্ন কৃষি ফসল চাষাবাদ করতে পারছে না। ফলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট বন্ধসহ জনগণ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে,আবহমানকাল থেকে আড়িয়াল খাঁ নদের নৌরুটের পাড় ঘেঁষে সদরপুরের চৌধুরীরহাট, পিয়াজখালী নদীবন্দর, ভাঙ্গার বালিয়াহাটি হাট, চান্দ্রাবাজার, মাদারিপুরের শিকদার হাট, মাদবরেরচর, চান্দ্রাবাজার, উত্রাইলহাট, মাদারিপুর জেলা সদরসহ অসংখ্য নদীবন্দর গড়ে ওঠে। উক্ত নদী বন্দরের সাথে নৌচলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাটগুলো থেকে সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে। চরাঞ্চলের লোকজনের কৃষিপণ্য বেচাকেনার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
Source : Ittefaq